জগন্নাথপুরে ডাউকা নদী ব্রীজের অ্যাপ্রোচে ধ্বস,সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ 

মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
জগন্নাথপুরের রসুলগঞ্জ বাজার সংলগ্ন ডাউকা নদীর উপর অবস্থিত ব্রীজের অ্যাপ্রোচে ধ্বস।সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন । চরম ভোগান্তিতে জগন্নাথপুর ও ছাতকবাসী।
জানাযায়,স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি নির্মিত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রসুলগঞ্জ-কচুরকান্দি-লামা টুকের বাজার সড়কের রসুলগঞ্জ বাজার সংলগ্ন  ডাউকা নদীর উপর অবস্থিত  অ্যাপ্রোচ বিধ্বস্ত হওয়ার একবছর অতিবাহিত হলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এই ব্রীজের  অ্যাপ্রোচ বিধ্বস্ত হওয়ায় দীর্ঘ দিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যানবাহন চলাচল করলেও সাম্প্রতিক বন্যার পানির প্রবল স্রোতে অ্যাপ্রোচ অংশের মাটি সম্পূর্ণ ধ্বসে যাওয়ায় বিগত একমাস ধরে রসুলগঞ্জের সঙ্গে লামা টুকের বাজার, বিশ্বনাথ ও ছাতক উপজেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ছোট- বড় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই অঞ্চলের জনসাধারণ যাতায়াত সমস্যায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বন্যায় ডাউকা নদীর পানির প্রবল স্রোতে সেতুর উত্তর পাড়ের পশ্চিম পাশে অ্যাপ্রোচের মাটি সরে গিয়ে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়। ক্রমান্বয়ে অ্যাপ্রোচ থেকে মাটি ধসে যাওয়ার ফলে এখন পুরো অ্যাপ্রোচ বিধ্বস্ত রয়েছে। গত বছরের শুরুতেই অ্যাপ্রোচটি বিধ্বস্ত হলে ভাঙন প্রতিরোধে অ্যাপ্রোচ স্থানে এলজিইডি কর্তৃক প্যালাসাইটিং ও বালির বস্তা ফেলে আপ্রোচটি রক্ষার চেষ্টা করেন।
পাটলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রাজা জানান, উপজেলা সদর থেকে পাটলী ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজার হয়ে মীরপুর ইউনিয়নের কচুরকান্দি, লামা টুকের বাজারসহ পার্শ্ববর্তী বিশ্বনাথ ও ছাতক উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র সড়কটির ডাউকা নদীর সেতুর অ্যাপ্রোচ বিধ্বস্ত হওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অ্যাপ্রোচ স্থানের ভাঙন দিয়ে জনসাধারণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পায়ে  হেঁটে সেতুর এপার ওপার হচ্ছেন।
এব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ার ” দৈনিক আগামীর সময় ‘ পত্রিকাকে জানান, সেতুটির অ্যাপ্রোচ বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। সাম্প্রতিক বন্যার পানির প্রবল স্রোতের কারণে অ্যাপ্রোচটি বিধ্বস্ত হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে অ্যাপ্রোচ সংস্কারের জন্য প্রাক্কলন তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে পাঠানো হয়েছে। প্রাক্কলন অনুমোদনের পর দরপত্র আহ্বান করা হবে এবং ঠিকাদার নিযুক্তির পর কাজ শুরু করা হবে।
Attachments area

আপনি আরও পড়তে পারেন